পাথরঘাটা প্রতিনিধি::
বরগুনার পাথরঘাটায় মাদকে ছয়লাব হয়ে পড়েছে। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। অদৃশ্য চাপে গ্রেফতার করতে গিয়ে হয়রানিতে পড়তে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে।
পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী লাকুরতলা নাপিতখালির গাঁজা সরোয়ার, পাথরঘাটা পৌরসভার ইদ্রিস মাজাই, অন্তর, সেতু, মাছেরখালের জসীম, বিএফডিসির হানিফ বড় মিয়া, পদ্মাসুইলিজের ধলু ভাই ও আমড়াতলার আজাদ সহ অনেক মাদক ব্যবসায়ী এরা অদৃশ্য এক হোয়াইট কালারের গডফাদারের ছত্রছায়ায় তুলেছেন মাদকের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
সরোয়ারসহ সকলের বাসায় দিন-রাত সমানভাবে প্রকাশেই চলে মাদক কেনাবেচা। সেই সাথে চলে, সেখানে বসেই সেবন। টাকা দিলেই যে কোনো বয়সের যে কেউ পায় হেরোইন, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক।
অনেক স্কুল কলেজের ড্রেস পরিহিত ছাত্ররা নিচ্ছে দেদারসে মাদক। তাদের এই মাদক বিক্রির হাটে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই চলে নির্যাতন। এমন অনেক ভুক্তভোগীরা বলছেন অদৃশ্য এক শক্তি তাদের ছায়া দিয়ে রেখেছে। সেই শক্তি বলয়ে থানা পুলিশও অসহায় এদের কাছে। এদের বিরুদ্ধেও মাদকসহ নানা অপকর্মের ডজন ডজন মামলা আছে।
বর্তমানে পাথরঘাটার অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী শিপন দাস জেলে থাকলেও বন্ধ হয়নি মাদক ব্যবসা। শিপন দাস জেলে বাহিরে তারই ছত্রছায়ায় চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। এই অদৃশ্য শক্তির নিকট থানা পুলিশও কিছুটা অসহায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশেই চলছে মাদক বিক্রি। তাদের ভয়ে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলছে না প্রতিবেশীরা। তবে সেখানকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলছে এসকল মাদক কারবারি নিকট প্রচুর সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও চোর আছে।
যারা তাদের নিয়মিত কাস্টমার। কেউ এদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে নেমে আসে নির্যাতন ও হয়রানি। তাদের কারণে এলাকায় চুরি ছিনতাই বেড়েছে। যুব সমাজ আজ ধংসের মুখে। কেউ প্রতিবাদ না করায় দিন দিন তাদের সাহস বেড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করলেই উল্টা মাদক কারবারিরা হুমকি দিয়ে থাকে, বেশি কথা বললে উল্টাটা মাদক দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। তাছাড়াও স্থানীয় নেতাকর্মীদের ও ম্যানেজ করে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
প্রকাশেই মাদক ব্যবসায়ীরা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করি। মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জোর দাবি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের কাছে দ্রুত-তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক বলে জানান স্থানীয়রা।
তাদের মাদক বিক্রির কারনে এলাকার যুবকরা মাদক আসক্তে জড়িয়ে পড়ছে। দ্রুত এসব মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যুবসমাজ ধংস হয়ে যাবে।
পাথরঘাটার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদক কারবারিরা আটক হয়। আবার তারা জেল থেকে বের হয়ে মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয়।