মাহমুদুননবী;
পর্দা শুধু একটি কাপড়ের আড়াল নয়; এটি নারীর মর্যাদা, আত্মসম্মান এবং ইমানের রক্ষাকবচ। বর্তমানে অনেকেই ভুলভাবে পর্দার ধারণা গ্রহণ করেন। কেউ মনে করেন এটি শুধুই শারীরিক আড়াল, আবার কেউ ভাবেন এটি নারীর স্বাধীনতার বিপরীতে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, পর্দা মানে নিজেকে সংযত করা, নিজের দৃষ্টি, আচরণ এবং পোশাকে শালীনতা বজায় রাখা।
পর্দার আসল উদ্দেশ্য হল সুন্দর্য গোপন রাখা, যাতে মানুষ নারীর বাহ্যিক রূপের চেয়ে তার চরিত্র ও ব্যক্তিত্বকে গুরুত্ব দেয়। একজন পর্দানশীন নারীকে দেখে বোঝা যাবে না, তার বয়স ১৬ নাকি ৬০। কারণ, তার পোশাক ও আচরণ এমন হবে যা তাকে সবসময় সম্মানের আসনে বসায়।
পর্দা নারীর ব্যক্তিত্বকে সংরক্ষণ করে। এটি তার পরিচয়কে বাহ্যিক রূপ থেকে সরিয়ে এনে তার নৈতিকতা ও আত্মমর্যাদার ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলে। একজন পর্দানশীন নারী একদিকে যেমন নিজের ইজ্জত রক্ষা করেন, অন্যদিকে সমাজের পুরুষদেরও সংযম শেখান।
তবে পর্দা মানেই শুধু নারী নয়; ইসলাম পুরুষকেও পর্দা পালন করার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের দৃষ্টি সংযত রাখতে এবং অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে।
আজকের সমাজে বেপর্দা সংস্কৃতি দিন দিন বাড়ছে, যা নারীর সম্মানকে হ্রাস করছে এবং তাকে পণ্যায়িত করছে। অথচ পর্দাই নারীকে প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয়।
পর্দা শুধু শরীর ঢাকা নয়, এটি আত্মিক ও নৈতিক এক আচ্ছাদন। এটি নারীকে আড়াল করে, কিন্তু সমাজে তাকে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো সম্মানিত করে তোলে। সত্যিকার পর্দা মানে নিজের ইচ্ছাগুলোকে সংযত রাখা, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা এবং নিজের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখা।