পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ইউনিয়ন আমীর, বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নাসীর উদ্দিনের উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , গতকাল আসরের নামাজের পর চৌকিদার হাটের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পশ্চিম বালিপাড়া সংযোগ ব্রিজ সংলগ্ন মোশাররফ হাওলাদারের বাড়ির সামনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা ছিল তেজগাঁও থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন, তার ভাই রাজু, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বাপ্পী হাওলাদার, জসিমের চাচাতো ভাই মাদ্রাসা শিক্ষক জাকির হোসেন, শিমুল, বাচ্চু, গিয়াস সহ ২০-২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। হামলাকারীদের হাতে ছিল রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, পাইপ, ছোরা ও পিস্তল। নাসীর উদ্দিনকে রক্ষা করতে গেলে আরও ৬-৭ জন গুরুতরভাবে আহত হন। পরে মোশাররফ হাওলাদারের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তবে হামলাকারীরা সেখানেও হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে, তখন বাড়ির মহিলারাও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ইন্দুরকানী থানার এসআই পলাশ ফোর্সসহ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে নাসীর উদ্দিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি ইন্দুরকানী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং চিকিৎসা শেষে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। জুলাই বিপ্লবের পর এ ধরনের সন্ত্রাসী তাণ্ডব ফের শুরু হওয়া উদ্বেগজনক। এলাকাবাসী মনে করছেন, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটবে এবং সাধারণ মানুষ আবারও সন্ত্রাসীদের দখলে জিম্মি হয়ে পড়বে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।