পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার অভ্যন্তরীন আয় ব্যয়ের নীরিক্ষা প্রবিবেদনে অধ্যক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয় পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) স্থানীয় সরকার ও ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষকে কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। গত ১৭ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক অর্থ আত্মসাতের কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের জন্য ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে অধ্যক্ষকে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে সংশ্লিষ্ট মাদ্রসার অধ্যক্ষ সুকৌশলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব না দিয়ে ১৫দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। কারণ মাদ্রাসার এডহক কমিটির মেয়াদ ১০দিন পরে শেষ হয়ে যাবে। একারনে অধ্যক্ষ এ কৌশলটি ব্যবহার করেন। জানাগেছে, বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা পরিচালনার কোন কমিটি নাই। এর প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২০২৩-২০২৪ অভ্যন্তরীন হিসাব নীরিক্ষা প্রতিবেদনে জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি অডিট কমিটি গঠন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মো. আসাদুজ্জামান । ৪ সদস্য বিশিস্ট কমিটির আহবায়ক করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে। এছাড়াও সদস্য সচিব করেন আহম্মদ মারুফ তালুকদার (দাতা সদস্য), শিক্ষক টি.এম.মনোয়ার হোসেন ও মো. মাহাবুব রহমান। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অধ্যক্ষ ১১ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা, সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া ও অধ্যক্ষ যোগ সাজসে ৫ লক্ষ ২১ হাজার টাকা, অফিসহকারীসহ আরো ২/৩ জন মিলে মোট ১৯ লক্ষ ৯১ হাজার টাকার অর্থ আত্মসাতের সত্যতা মেলে। যাহার মধ্যে পিবিজিএসআই প্রকল্প থেকে ৫লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। যাহার কোন কাজ না করে সম্পূর্ন টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার একটি সূত্র জানায়, মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের নামে একই কাজের একাধিক খরচ দেখানো হয়েছে। অধ্যক্ষ একই ভাউচার একাধিক বার দেখানো, শিক্ষক হাজিরা খাতায় উপস্থিত থাকা সত্যেও ওইদিনে ঢাকাগমনের নামে যাতায়েত খচর এর টাকা আত্মসাৎ। এছাড়া মাদ্রাসার নিয়মিত আভ্যন্তরীণ বিল ভাউচারেও কারসাজি করে এ বিপুল পরিমান অর্থ অধ্যক্ষ, মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও অফিস সহকারি মিলে সমন্বয় করে অর্থ হাতিয়ে নেন। তবে অদ্যবধি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদ্রাসার অডিট কমিটির আহবায়ক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন আমি তদন্ত করেছি এবং তাহার বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবরে রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আব্দুর রহিম খান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ভুলত্রুটি থাকতে পারে তবে আমি দুর্নীতি করি নাই। ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার কমিটির সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া তিনি বলেন আমি এব্যাপারে কিছু জানি না। তবে অধ্যক্ষ সাহেব অনিয়ম ও দুনীতি করে থাকলে সেটা আমার জানা নেই।