মোঃ নুরুজ্জামান খোকন ; পিরোজপুর প্রতিনিধি;
অদ্য ৯ ফেব্রুয়ারি(রবিবার)২০২৫ তারিখ,আনুমানিক দুপুর ১২ ঘটিকায় পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলাধীন ইকড়ি ইউনিয়নের,ইকড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান চলাকালে,ইকড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক উক্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে পূর্ব বিরোধের জেরধরে মোঃসেলিম মাইনুল হোসেন, মোঃ ইদ্রিস জোমাদ্দার সহ স্থানীয় ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা লোকজন উপস্থিত হয়ে অতর্কিত মারপিট শুরু করলে এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে স্থান ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক জামাল ভান্ডারিয়ার দিকে আসার পথে ইকড়ি মোল্লাবাড়ির মাদ্রাসার সামনে পৌছালে অনুমান ১২ঃ৪৫ ঘটিকার সময় পূর্বের মারধরের ব্যক্তিরাই পূনরায় উক্ত শিক্ষকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুসি সহ লাঠি দিয়ে পিটায় এবং মাথায় গাছের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন।
অতঃপর প্রধান শিক্ষকের স্বজনরা উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
জানা যায় ২০২৩ সালে ইকড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে একটি তর্কবিতর্ক হয় এবং পরবর্তীতে ১৬জুলাই ২০২৩ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরিশালে, এ কে এম আমিনুল হক বাদী হয়ে জাল স্বাক্ষরের বিষয়কে কেন্দ্র করে একখানা অভিযোগ দায়ের করেন এবং ৩০ জুলাই ২০২৩ইং তারিখে পিরোজপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি সি আর মামলা দায়ের করেন, যাহা চলমান রয়েছে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ড অভিযোগ খানার তদন্ত শেষে ২০ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখে ম্যানেজিং কমিটি বহাল রাখেন। পরবর্তীতে উক্ত কমিটি ২৩ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে, প্রধান শিক্ষক এ কে এম আমিনুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
বহিঃষ্কৃত প্রধান শিক্ষকের মেয়ে দিনার জাহান ঐশি এই বিষয়ে জানান, তার বাবাকে ইকড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির আল মামুন ইচ্ছা করে লোকজন দিয়ে লাঠিধারা পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে,যাতে করে ভারপ্রাপ্ত থেকে জাকির আল মামুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্থায়ীভাবে উক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থাকতে পারেন।