স্টাফ রিপোর্টার;
মাদকে ছেয়ে গেছে ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা। শহরে নতুন নতুন মাদক ব্যবসায়ীর সংখা বেড়ে গেছে ব্যাপক ভাবে। মাদকের আখড়ায় পরিনত হয়েছে এ শহর। বাড়ছে চুরি, ছিনতাই ও অটো-মিশু গাড়ি চুরির ঘটনা। গাঙ্গিনার পাড়, ব্রীজ এলাকা, স্টেশন এলাকায় বেড়েছে নানা ধরনের অপরাধ। কতিপয় দুষ্ঠু পুলিশ ও সোর্সদের কারনে এর প্রতিকার হচ্ছেনা তেমন। সব মিলিয়ে ময়মনসিংহ এক আতংকের নগরীতে পরিনত হয়েছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় লোকবল নেহাত কম নয়। নগরীর থানা ফাড়ি মিলিয়ে ৬ জন পুলিশ পরিদর্শক রয়েছেন। কোতোয়ালী মডেল থানায় এস আই রয়েছেন, ৩১ জন। এ এস আই রয়েছে ৩০ জন। দিনে ৪টি রাতে ৬ টি মোবাইল টিম বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন। ৩ টি ফাড়ি পুলিশের দিবা রাত্র টহল টিম বের হয় । তবুও অপরাধ কমছে ই না। থানায় দায়িত্বশীল পুলিশের পাশাপাশি কতিপয় দুষ্টু পুলিশও রয়েছে। এরা ডিউটি শেষে মাদক ব্যবসায়ীদের বাসাবাড়ি বা আস্তানায় আসা যাওয়া করে। এদের সাথে তখন একাধিক সোর্স থাকে। কোন কোন সময় মাদক ব্যবসায়ী আটকায়, কোনটা ওখানেই ছেড়ে দেয় কোনটা আবার কোন চায়ের দোকানে বসে ফয়সালা করে। আবার কোন কোন সময় মাদক বিহীন মাদক ব্যবসা থেকে ফিরে আসা লোকদের ধরে এনে আধা কেজি এক কেজি দিয়ে মামলা ঠুকে দেয়। এ সকল ঘটনায় অর্থ লেনদেনের কথাও প্রচার হয়।
অতি সম্প্রতি কোতোয়ালী মডেল থানার এ এস আই মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষ্টপুর ভৈরব রেল গেইট রেল কোয়াটারের কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী সুবর্নাকে ধরতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী তার স্বামী দেলুকে আটক করে। পরে ছেড়ে আসে। প্রচার হয় এলাকায় ৬০ হাজার টাকা পুলিশ নিয়েছে। তার মূলত সোর্স দুলাল। সে ইতি পূর্বে থানার এক এ এস আইকে নিয়ে শিকারী কান্দায় গাজা ব্যবসায়ীকে ধরে গোয়ালের গাভী ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিক্রী করে ঘুষ নিয়েছিল। তখন ঘটনাটি এক গনমাধ্যম কর্মী পুলিশ সুপারকে জানালে তৎসময়ে ডিবি’র ওসি শাহ কামাল আকন্দ এস আই আজগরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এস আই আজগর সোর্স দুলাল ও কাশেম ধরে নিয়ে আসে। অভিযোক্ত পুলিশ ডিবিতে হাজির হয়। টাকা ফেরত দেয়ার পর গনমাধ্যম কর্মী ঘটনাটি আপোষ মিমাংশা করে দেন।
সম্প্রতি সময়ে এ এস আই মিজানসহ হাতে গুনা ৩/৪ জন এস আই ও এ এস আইয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ হরহামেশাই পাওয়া যায়। তারা নিয়মিত রাস্তাঘাটে সামারী করে থাকে। এ সকল দুষ্ঠু পুলিশ অফিসারগন মানবিক পুলিশের ইমেজ নষ্ট করছে।