মোঃ জহিরুল ইসলাম;
গত১৯জুলাই২৪"জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঢাকা,এটি একটি লক্ষ্যনীয় বিষয়, আলহামদুলিল্লাহ এতো সুন্দর দিন দেখতে পাচ্ছি কোন ভালো কাজের কারনে হে আমার রব্ব! আলহামদুলিল্লাহ।
আমীরে জামায়াত যখনই অসুস্থবোধ করেন, পড়ে যাওয়ার আগেই পিছন থেকে খেয়াল করেন সার্জারিতে এফসিপিএস, এমআরসিএস করা সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসানুল বান্না স্যার। খেয়াল করেই উনি দৌড় দেন।
আমীরে জামায়াত পড়ে গেলে সেক্রেটারি জেনারেল সবাইকে শান্ত থাকতে বলেন, নিজ নিজ জায়গায় থাকতে বলেন। সবাই শৃঙ্খল থাকেন। এরমধ্যে আমীরে জামায়াত ঢাকার যেকোনো নামকরা হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে গেলে যেসব সেবা পেতেন তা শুরু হয়ে যায় -ব্লাড প্রেশার,পালস,Chest auscultation,
আরবিএস,সবকিছুই মুহুর্তের মধ্যে চলতে থাকে। আমীরে জামায়াত বসে বসে বক্তব্য দিচ্ছেন আর needle prick করে উনার আঙুল থেকে রক্ত নেওয়া হচ্ছে RBS এর জন্য। পুরাই থ্রীলিং! Fluid resuscitation এর জন্য Infusion set ready!আশেপাশে দেখা যায় পিজির সহকারী অধ্যাপক আতিয়ার স্যার, নিউরোসায়েন্সের ডা. মুনাদি ইসলাম, ইএনটির ডা. আলি আফতাব ভাই, কাকরাইল ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজাক্কির ভাইকে এরকম দক্ষ মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকাকে আল্লাহর রহমত বলা যায়। আশেপাশে নামকরা ৫/৬ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ আরো কয়েকজন ডাক্তার।
সার্জিস আলম দূরে দাঁড়িয়ে রইলেন। এটাই তার জন্য সঠিক ছিল। কারণ বেশ কয়েকজন ডাক্তার এবং আমীরে জামায়াতের সহকর্মীবৃন্দ তাঁর পাশে ছিলেন। তখন ভীড় না বাড়ানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কিন্তু সার্জিস ও-ই মুহুর্তে সবচেয়ে দামি ও প্রয়োজনীয় কাজটা করে ফেললেন, যার কাছে আমাদের হায়াত-মউত তাঁর নিকট হাত উঁচু করে দুআ করা।
কী সুন্দর বরকতময় দৃশ্য!
এরপর আবার হাসপাতালে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ইসলামি আন্দোলনের অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ সহ বাকি নেতৃবৃন্দের দেখতে যাওয়া একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে৷