নিজস্ব প্রতিবেদক;
সাংস্কৃতির মহত্ত্ব প্রকাশ পায় তার উৎসবের মাধ্যমে উল্লেখ করে নাগরিক কেন্দ্রের সভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন মাঝি শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দেশীয় সংস্কৃতিকে বাঁচাতে না পারলে আমাদের নৈতিক অবক্ষয় দিনে দিনে বৃদ্ধি পাবে। সমাজের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে যেমন দেশের উন্নয়ন। তেমনি সাংস্কৃতিক উন্নয়ন মানেই একটি জাতির উন্নয়ন। সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি জাতি অনুন্নত থাকলে সেই জাতি পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। বাংলাদেশ জনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের সহ সভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন মাঝি আরো বলেন, কোন দেশ বা জাতি স্বাধীনতার আলো তখনই দেখছে যখন তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের চরম উন্নতি হয়েছে। যে জাতির সাংস্কৃতিক রূপরেখা নেই, সাংস্কৃতিক উন্নতি নেই, সাংস্কৃতিক চর্চা নেই, সে জাতির কোন উন্নতি হতে পারে না। এমনকি যে জাতি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে আছে সে জাতি কোন দিন ই স্বাধীনতার আলো দেখতে পায় না। পরাধীনতার গ্লানি নিয়ে তাঁদের যুগ যুগ ধরে কাটাতে হয়।
তরুণ রাজনীতিবীদ মোঃ ইলিয়াস হোসেন মাঝি বলেন, সমগ্র পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশ গড়ায় ও রক্ষার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ভূমিকা শীর্ষে এবং তা সর্বজন স্বীকৃত। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ফলেই পৃথিবীর অনেক দেশ, অনেক জাতি স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে এবং উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করছে। তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি ও নাগরিক কেন্দ্রের সভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন মাঝি বলেন, সাংস্কৃতি একটি জাতির পূর্ন পরিচয় বহন করে, এটি একটি জাতি বা সম্প্রদায়ের মূল স্বত্বা, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বোধ। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিজ নিজ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পালন, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ করা পবিত্র দায়িত্ব। তবে সাংস্কৃতিতে কোন খারাপ দিক থাকলে তা অবশ্যই বর্জন করা উচিত। যদি কোন ভাল দিক থাকে যা উন্নয়ন মুখী কল্যাণ কর এবং দেশ গড়ায় ও রক্ষার সহায়ক ভূমিকা পালন করে তা অবশ্যই গ্রহন ও উৎসাহিত করা উচিত। দেশ গড়ার ও রক্ষার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন