বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
জহিরুল ইসলাম;
যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি যুবকের হেড অফিস বি কে টাওয়ার। ওয়াকফ ষ্টেট থেকে লিজ নিয়ে ২২ তলা বিল্ডিং করার পরিকল্পনা গ্রহন করে যুবক হাউজিং সোসাইটি। বিল্ডিং করার কাজ চলমান অবস্থায় তিন তলার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর যুবকের হেড অফিস চালু করা হয় এই ৫৪ নাম্বার পুরানা পল্টন বিকেটাওয়ারে। যুবকের প্রায় সারে তিন লক্ষ বিনিয়োগকারীর থেকে টাকা উত্তোলন করে বিকে টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে যুবক হাউজিং এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। বিকে টাওয়ারের নির্মাণ কাজও বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিনিয়োগ কারীরা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য যুবক হাউজিং সোসাইটির কর্তৃপক্ষ সহ সারা দেশের প্রায় ৫০ হাজার কর্মী দায়িত্বশীলদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তৎকালীন আওয়ামী সরকার পর পর দুইটি কমিশন গঠন করে।
দশ বছর অতিবাহিত করেও কোন সূরাহা করতে পারে নাই বিগত সরকার। সেই সুযোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যুবকের সম্পদ দখল করে নেয় আওয়ামী ফেসিষ্ট সরকারের প্রভাবশালীরা। যুবক হাউজিং সোসাইটির দায়ীত্বশীলদের বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতে থাকে দখলদার আওয়ামী দালালরা। যুবকের সম্পদ উদ্ধারে গত ১৮ বছর মাঠে, রাজ পথে সংগ্রাম করে যাচ্ছে যুবকের ভুক্তভোগী পাওনাদার কর্মী, দায়িত্বশীলগন।
যুবকের আর টিভি ফেরত পাওয়ার জন্য আওয়ামী সরকারের পতনের দুই দিন পর মানব বন্ধন করে যুবকের ভুক্তভোগী কর্মী দায়িত্বশীলগন। যুবকের হেড অফিস বি কে টাওয়ার যাদের বিনিয়োগে তৈরী সেইসব কর্মী দায়িত্বশীলগন গত ১৯ মে বিকে টাওয়ার উদ্ধারের জন্য অবস্থান নেন তাদের গড়া বিকে টাওয়ার ভবনে। ভিতরে অবস্থানরত যুবকের ভুক্তভোগী পাওনাদারগনকে দখলদারদের গুন্ডা বাহিনী রাস্তায় দাড়িয়ে বিকে টাওয়ারের গেটে খোলস পাল্টানো আওয়ামী ক্যাডাররা মোতয়াল্লীর কর্মচারী সেজে বিকে টাওয়ার ছেড়ে যেতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। ব্যস্ততম পল্টন এলাকায় জন সমাগম ঘটতে থাকে। প্রশাসনের নজরে এলে পুলিশ বাহিনী ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে যুবকের ভুক্তভোগী পাওনাদারদের নাম ঠিকানা নিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে স্থান ত্যাগে বাধ্য করে।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ভুক্তভোগী যুবকের পাওনাদারগন বিকে টাওয়ার ত্যাগ করেন। যাদের টাকায় গড়া যুবকের বিকে টাওয়ার, দখলদার মুক্ত করে তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, মাননীয় আইন উপদেষ্টা ও মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাদের প্রতি আকুল আবেদন করছেন যুবক পরিবারের প্রায় সারে তিন লক্ষ ভুক্তভোগী দায়িত্বশীল, কর্মী ও সদস্যগন।