বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
মোঃ জহিরুল ইসলাম
প্রতি বছরের মে মাস যুবক পরিবারের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
গত ২০০৭ সালে যুবক হাউজিং সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা, নির্বাহী পরিচালক জনাব হোসাইন আল মাসুম সহ অন্যান্য পরিচালকদের ১/১১ সরকারের নির্দেশে ডিজি এফ আই গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। প্রায় ৪০ দিন চোখ বেঁধে আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ডিজি এফ আই যুবকের নামে কেনা আর টিভির ৫৭% শেয়ার আওয়ামী লীগের প্রাত্তন এম পি, বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমের নামে জোড়পৃর্বক লিখিয়ে নেয়। বিনিময়ে কোন টাকা পয়সা লেন-দেন করা হয় নাই।
মুক্তি পাওয়ার পর আর টিভির শেয়ার কেড়ে নেয়ার ঘটনা বর্ননা করে তেঁজগাও থানায় দুইটি জিডি করা হয়। ২০১০ সালের ২১ মে যুবকের নির্বাহী পরিচালক কারাগার থেকে মুক্তি পান। এই দিনটিকে কারা মুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে যুবক পরিবার।
যুবকের হেড অফিস ৫৪ পুরানা পল্টনের ২২ তলা নির্মানাধীন ভবনটিও দখল করে নেয় ফেসিষ্ট সরকারের প্রভাবশালীরা।
এই মুহূর্তে যুবকের ১৬টি সম্পদ উদ্ধারের কাজ চলছে। সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় যুবকের সম্পদ উদ্ধার কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেকোন বৃহতত্তর কর্মসৃচীতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০০৬ সালের মে মাসের ২৪ তারিখে যুবক হাউজিং সোসাইটির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি বছর দিনটিকে যুবক পরিবার কলোদিবস হিসেবে পালন করেন। ২০১৮ সালের ২৪ মে যুবকের চেয়ারম্যান জনাব আবু সাঈদ মৃত্যু বরণ করেন। দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করেন যুবক পরিবার। আগামী ২৪ মে যুবকের সম্পদ উদ্ধার উপলক্ষে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানব বন্ধন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। যুবকের ভুক্তভোগী সকল পাওনাদারদের মানববন্ধনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।