বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
মোঃ আবুরায়হান ইসলাম মোংলা প্রতিনিধি
বাগেরহাটে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করায় ৪৮ ঘণ্টার হরতাল এর ডাক দিয়েছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা।
সকাল থেকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা টানা দুই দিনের হরতাল ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি চলছে।
হরতালের সমর্থনে মিছিল শুরু করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা হরতালের সমর্থনে স্লোগান দেন। চারটি আসন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইসিকে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। যত দিন পর্যন্ত চারটি আসন ফিরিয়ে না দেবে, তত দিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাঁরা। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) হরতালের প্রথম দিন সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টা পর্যন্ত চলবে এ হরতাল।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা টানা দুই দিনের হরতালে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। পাশাপাশি হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে। দোকানপাটও বেশিরভাগই বন্ধ ছিল ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেও ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল। ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। চারটি আসন বহল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। তার বিপরীতে গেল ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন ধরে চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা ছিল বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। হরতালের কারণে স্থানীয় মানুষজন মনে করছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের জীবনে ভোগান্তির ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কবে তারা এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে।