রবিবার, ০৬ Jul ২০২৫, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
এম, তৌহিদুল ইসলাম; জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী;
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ হিসেবে বাংলার শহরে, গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় অবস্থিত মসজিদ, মাদরাসা কিংবা দ্বীনদরদী মুসলিম ভাইদের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন- বেশ পরিচিত একটি চিত্র। এমন দৃশ্য বিশ্বের অন্য কোনো মুসলিম দেশে সাধারণত দেখা যায় না।
আয়োজিত এসব ওয়াজ মাহফিলে প্রাজ্ঞ আলেম, পীর-মাশায়েখ ও বুজুর্গরা সাধারণ মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় নানা বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে, সাইকেল বা বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ সব ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং সারারাত জেগে, গভীর আগ্রহ সহকারে কোরআন-হাদিসের আলোচনা শোনেন।
পর্দার আড়ালের মা-বোনেরাও নিজ বাসা বাড়িতে বা আত্মীয়ের বাড়িতে এসে ওয়াজ শোনে থাকেন। বাংলাদেশের মানুষ যে ধর্মপ্রাণ- এসব ওয়াজ মাহফিলের উপস্থিতি দেখে তা অনুমান করা যায়।
মানুষের ধর্ম সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থেকেই প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে এসব মাহফিলে অংশ নিয়ে থাকেন। আর ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে জানানো আলেম-উলামাদের নৈতিক দায়িত্ব।
এ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘(আমার ইন্তেকালের পর) লোকেরা তোমাদের অনুসারী হবে। বিভিন্ন দিক হতে তারা তোমাদের নিকট দ্বীনি জ্ঞান লাভ করার উদ্দেশ্যে আগমন করবে। অতএব, তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে তখন তোমরা তাদেরকে সদুপদেশ দেবে। ’ -তিরমিজি/ ২৬৫০
হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরেক হাদিসে আরও ইরশাদ করেন, ‘মুমিন ব্যক্তি কখনও উত্তম কথা শ্রবণে তৃপ্তি লাভ করতে পারে না; যে পর্যন্ত না তার শেষ পরিণামে জান্নাত হয়। ’ –তিরমিজি/ ২৬৪৮
আসলে মুমিন বান্দা যতই দ্বীনি ইলম অর্জন করবে বা তার আলোচনা শোনবে ততই তার আকাঙ্খা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ফলে তার এই আগ্রহ মৃত্যু অবধি শেষ হয় না। বরং সে আমরণ সে শোনতেই থাকবে; অবশেষে এটাই তাকে বেহেশতে পৌঁছে দিবে। অর্থাৎ মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই সে জান্নাতে পৌঁছে যায়।
তারই ধারাবাহিকতায় তিন নং ওয়ার্ড উত্তর পুরান পাড়া জামে মসজিদ মাঠে যুব সমাজের উদ্দোর্গে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মনিরুজ্জামান শামিম, মাওলানা গাজী শাহজাহান,মাওলানা সোলাইমান গাজী,ও কারী আবদুল আজিজ,এতে সভাপতিত্ব করেন আহসানিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব কামরুল আহসান হাসান,
প্রধানঅতিথির বক্তৃতায় বলেন
মানুষকে সৎ উপদেশ ও ইসলামের সঠিক পথের দিশা দিয়ে থাকেন। এভাবে মানুষকে ইসলামের পথে আনা
এ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা কি বলতে পারো দানের দিক দিয়ে সর্বাপেক্ষা বড় দাতা কে? সাহাবিরা জবাব দিলেন আল্লাহ ও তার রাসূলই অধিক ভালো জানেন। তখন হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দানের দিক দিয়ে আল্লাহই সব চেয়ে বড় দাতা। তার আদম সন্তানদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে বড় দাতা। আর আমার পরে বড় দাতা ওই ব্যক্তি যে ইলম শিক্ষা করে এবং তা বিস্তার (প্রচার-প্রসার) করে। কিয়ামতের দিন সে একাই একজন আমির হিসেবে উত্থিত হবে। -মিশকাত/২৪১, শোয়াবুল ঈমান/১৬৩২ এভাবে মানুষের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে থাকেন।।