মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী;
পাগলী রাহিমা ছেলে সন্তানের মা হলেন কিন্তু বাবা হলেন না কেউ। শুক্রবার গভীর রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসুতি বিভাগে তিনি ছেলে সন্তানের মা হন। শিশুটি জন্মের পরে অসুস্থ্য হওয়ার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে মা ও শিশু এই হাসপাতালে সুস্থ্য আছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আজিমপুর বাজারে পাগলী রাহিমা শুক্রবার বিকেলে শারীরিক যন্ত্রনায় ছটফট করছে। কিন্তু কেউ তার শারীরিক যন্ত্রনার বিষয়টি অনুভব করতে পারেনি। ওই দিন রাত ১১ টার দিকে স্থানীয়রা ৯৯৯ ফোন দেন।
আমতলী থানার এসআই নাসরিনসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার শারীরিক যন্ত্রণার কারন বুজতে পারেন। পরে নারী ইউপি সদস্য তাসলিমা বেগমের সহায়তার ওই পাগলীকে পুলিশ উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান দ্রুত তাকে গাইনী ওয়ার্ডে প্রেরণ করেন। ওই রাতেই হাসপাতালের নার্স ও ইউপি সদস্য তাসলিমার সহায়তার পাগলী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু মা সুস্থ্য থাকলেও শিশুটি অসুস্থ্য হয়। ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামানের প্রায় দের ঘন্টার প্রচেষ্টায় শিশুটি কিছুটা সুস্থ্য হয়। পরে ওই শিশু ও মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পটুয়াখালী হাসপাতালে শিশু ও মা সুস্থ্য আছেন। ধারনা করা হচ্ছে ওই পাগলীর বাড়ী উত্তারাঞ্চলের কোন এলাকায়। তিনি শুদ্ধ ভাষার কথা বলেন বলে জানান ইউপি সদস্য তাসলিমা বেগম। ইউপি সদস্য তাসলিমা বেগম বলেন, পাগলীকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে ডাক্তার, নার্সদের সহায়তায় স্বাভাবিক ভাবেই পাগলী রাহিমা একটি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, পাগলী তার নাম রাহিমা বলে জানান। সে শুদ্ধ ভাষায় আমাকে এবং এসআই নাসরিনকে ভাবী ডেকেছেন। ধারনা করা হচ্ছে রাহিমা উত্তারাঞ্চলের কোন ভালো পরিবারের মেয়ে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, সন্তান প্রসাবের পরে মা সুস্থ্য ছিল কিন্তু শিশুটি বেশ শ্বাস কষ্টে ভুগতেছিল। প্রায় দের ঘন্টা চেষ্টার পরে শিশুটি কিছুটা সুস্থ্য হয়। পরে শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওই পাগলী এর আগেও সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান হয়েছে। সিজারিয়ান অপারেশনের পরে স্বাভাবিক সন্তান হওয়া খুবই জটিল কিন্তু আল্লাহ সহায় হয়েছে। আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ৯৯৯ ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক এসআই নাসরিনসহ পুলিশ পাঠিয়ে পাগলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। ওই পাগলী একটি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন।