বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন
ব্যুরো প্রধান রাজশাহী
চলমান ভারত-পাকিস্তান সংঘাত গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় এক অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই যুদ্ধের অভিঘাত শুধু ভারত ও পাকিস্তানেই সীমাবদ্ধ নয়—বাংলাদেশসহ সমগ্র অঞ্চল জুড়েই এর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে “আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন” নামক নাগরিক সংগঠনের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলনের সদস্য সচিব আলামিন আটিয়ার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে নাগরিক সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। যুদ্ধের পথ নয়, সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠাই হোক আমাদের লক্ষ্য।”
আন্দোলনকারীরা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যা সরকারের প্রতি একান্তভাবে বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়। দাবিগুলো হলো—
১. সীমান্ত প্রতিরক্ষা জোরদার: সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় সামরিক ও মানবিক প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা।
২. আন্তর্জাতিক শান্তি উদ্যোগে অংশগ্রহণ: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক মঞ্চে শান্তি আলোচনায় বাংলাদেশকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা।
৩. সার্ককে সক্রিয় করা: দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরায় সক্রিয় করে যৌথ শান্তি ও সংলাপ কাঠামো গড়ে তোলা।
৪. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐক্য: জাতিসংঘসহ প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথ অবস্থান গ্রহণ করা।
৫. মানবিক প্রস্তুতি: সীমান্তবর্তী এলাকায় সম্ভাব্য শরণার্থী সংকট ও মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।
বক্তারা আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধ হলে তার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। একটি শান্তিপ্রিয়, স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ার স্বার্থেই এখন প্রয়োজন দায়িত্বশীল ও দূরদর্শী পদক্ষেপ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন শুধু মানববন্ধনেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; দেশের বিভিন্ন শহরে নাগরিক সমাবেশ, গোলটেবিল আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।