বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন
মোঃ নুরুজ্জামান খোকন; পিরোজপুর প্রতিনিধি;
পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানায় গত ৩০-১১-২৪ তারিখ মামলা নং-৬ এর ভুক্তভোগী বাদীর করা প্রাণনাশের হুমকি সহ বিস্ফোরক মামলার আসামী গ্রেফতারে ধীর গতিতে, অভিযুক্ত আসামিদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলমানে হুকির মুখে বাদী এবং নিরীহ এলাকাবাসী।
ইন্দুরকানী বালিপাড়ার ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মোঃ হাবিবুর রহমান হবি শেখ,মোঃ আউয়াল খান শাহিন, মোঃ আফজাল খানের বাড়িতে গত ৩রা মে ২০১৫ সালে,স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পালিত সন্ত্রাসী গডফাদার মাদক সম্রাট এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা দীর্ঘ দেড় ঘন্টা ভাঙচুর চুরি, অগ্নিসংযোগ,বিস্ফোরণ ঘটানোসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। জসিম হাওলাদারের ক্ষমতার দাপট,শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করে থানায় মামলা না নেয়ার হুমকি দেয়ায় নিশ্চুপ থাকতে হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলমান থাকায়,গত ৩০-১১-২০২৪ তারিখ,ইন্দুরকানি থানায় ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/
৩০৭/৪২৭/ ৪৩৬/৩৮০/ ৫০৬(২)/১১৪ ধারায় মামলা নং-৬, তারিখ -৩০/১১/২০২৪ ইং ধারার অপরাধে-34 the penal code.1860 তৎসহ ৩/৪ The Explosive substances Act,1908 একই উদ্দেশ্যে হত্যার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে অনধিকার প্রবেশ করতঃ মামলা দায়ের করলে আসামীগন ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন থেকেই ২২ নং আসামী সশস্ত্র মাদকসম্রাট পশ্চিম বালিপাড়ার জসিম হাওলাদার বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের নিয়ে পশ্চিম বালিপাড়া ও চন্ডিপুরে সশস্ত্র মহড়া সহ বাদীদেরকে হুমকি দিচ্ছে।
মাদক সম্রাট জসিম হাওলাদার তৎকালীন ঢাকার তেজগাঁও থানার শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক থাকাকালিন পেশায় একজন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীর আড়ালে একজন বড় মাপের মাদক ব্যবসায়ী ছিল। মাদক ব্যবসার কারনে মাত্র ২ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকার দাপটে সে এলাকার প্রভাবশালী লোকদেরকে তার পক্ষে সমর্থন আদায় করছে। সাধারণ মানুষ তার ভয়ে ভীতু সন্ত্রস্ত। তার মাদক ব্যবসার প্রসার ঢাকা থেকে পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তার সশস্ত্র মহড়ায় এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত বাহিনী নিয়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মাদকের আসর বসায়। দলের পতন হলেও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রসার ও অবৈধ অস্ত্র ক্ষমতার থেকে বিতাড়িত হচ্ছে দাপটে প্রশাসনের নাগালের মধ্যে থেকে অপরাধের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ মামলার বাদীপক্ষ সুষ্ঠ বিচার থেকে বিতাড়িত হচ্ছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের ধীরগতি ও নীরবতায় পরবর্তীতে যে কোন অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করেন।