শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
Welcome To Our Website...
সংবাদ শিরোনাম :
নওগাঁতে জাকের পার্টির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত; অবরোধ চলাকালীন বন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ নিধন; নদী সম্মেলনে অংশ নিতে পরিবেশযোদ্ধা নূর আলম আজ চীনে যাচ্ছেন ; নওগাঁর আত্রাইয়ে আয়েশা মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ; মঠবাড়ীয়া বিএনপি নেতার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত; শহিদ আলিফ হত্যার বিচার দ্রুত কার্যকর; বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু; মঠবাড়ীয়া দু’দিন নিখোঁজের পর অটো চালকের মরাদেহ উদ্ধার; আবারো ৯ জেলেসহ ভারতীয় ফিশিং ট্রলার আটক; পটুয়াখালী পৌরসভার উদ্যোগে অটোরিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ ও ড্রেস বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন; নওগাঁর আত্রাইয়ের বান্দাইখাড়া বধ্যভূমির তিন মাথার মোড় যেন মৃত্যুর ফাঁদ; সাপলেজা ও আমড়াগাছিয়ায় পরপর দুই বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি; কাউখালী বাড়ন্ত মুরগীপালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন; নওগাঁর আত্রাইয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন ; প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ; নওগাঁতে ভোরের শিশিরভেজা ভোর আর কুয়াশা জড়ানো সকাল জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমন; রাষ্ট্র কাঠামো গঠনের ৩১ দফা পরিবর্তনে হেলিন জেরিন খান; মাদারীপুরে মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষন ও হত্যার আসামীর মৃত্যু দন্ড রায় ; নওগাঁর আত্রাইে দেবি শ্যামাকে অশ্রু জলে বিদায় দিলেন ভক্ত বৃন্দ ; আত্রাইয়ের ক্যাশবপাড়াতে শিক্ষার্থীদের কোরআনের ছবক প্রদান;

অবরোধ চলাকালীন বন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ নিধন;

মোঃ আঃ কুদ্দুস খান, স্টাফ রিপোর্টার, মঠবাড়ীয়া (পিরোজপুর)।

রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন আসল রক্ষক কে— সেই প্রশ্নই এখন এলাকার জেলেদের মুখে মুখে। এমনই এক চিত্র দেখা গেল বন খেকো কিছু বন কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে। অবরোধ চলাকালীন সময়ে, অর্থাৎ ২ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বলেশ্বর নদী ও আশপাশের এলাকায় সকল ধরনের মাছ ধরা, নৌকা ও ট্রলার চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে চলছে প্রকাশ্যে অবৈধ চড় গড়া জাল দিয়ে মাছ নিধন। ২৪ অক্টোবর দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়— রায়েন্দা স্মরণখোলা বগী বন কর্মকর্তার অফিস সংলগ্ন বলেশ্বর নদী এবং স্মরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তার অফিসের পাশে শতাধিক অবৈধ চড় গড়া জাল নদীর ধারে আটকানো রয়েছে। এসব জাল সম্পূর্ণভাবে অবৈধ, কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এগুলো দিয়ে মাছ ধরা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা নদীর এপারে এসে জেলেদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করেন। কেউ জাল দিয়ে মাছ ধরতে গেলে তাদের জাল ও নৌকা আটকিয়ে জরিমানা ও জেল দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে স্মরণখোলা রেঞ্জের এক ফরেস্ট অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই জালগুলো আমরা পাশ দিয়েছি, পাশ নিয়েই ওরা মাছ ধরে। নদী আমাদের, আমরা অনুমতি দিয়েই মাছ ধরতে দেই।”
তবে প্রশ্ন থেকে যায়— যদি পাশ দেওয়া হয়, তবে একই ধরনের জাল ব্যবহার করায় অন্য জেলেদের জাল ও নৌকা কেন আটক করা হচ্ছে?
স্থানীয় জেলেরা বলছেন, “বন বিভাগের কর্মকর্তাদের এই দ্বিচারিতা ও দুর্নীতিই আমাদের জীবিকা ধ্বংস করছে।”
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে— চুরি ও দুর্নীতিই কি এখন বন কর্মকর্তাদের নিয়মিত দায়িত্ব হয়ে গেছে? বন বিভাগের দায়িত্ব কি বন রক্ষা, না মাছ ও নদী লুটপাট করা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Copyright © Frilix Group
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার